article

প্যারেন্টাল কন্ট্রোল বাধ্যতামূলক, আইএসপির লাইসেন্স হচ্ছে ৪ প্রকার

প্যারেন্টাল-কন্ট্রোল-বাধ

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : প্যারেন্টাল কন্ট্রোল হলো শিশুদের জন্য আপত্তিকর বা অনুপযুক্ত ওয়েবসাইট ব্লক বা কনটেন্ট ফিল্টারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা। ফলে ইন্টারনেট দুনিয়ায় থাকার সময় শিশুর সামনে অনাকাঙ্খিত কোনো কনটেন্ট আসবে না।

এ পদ্ধতির ব্যবহার বাধ্যতামূলকভাবে রাখার ব্যবস্থা করছে সরকার। এর অংশ হিসেবে বাবা-মা’র হাতে শিশুর ইন্টারনেট ব্যবহারের কর্তৃত্ব রাখতে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের লাইসেন্সিং নীতিমালায় ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোল’ যুক্ত করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে লাইসেন্সের ধরণ ছয় থেকে চারে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড খাতের উদোক্তারা এ নীতিমালা পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত সপ্তাহে সরকারের সঙ্গে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের বৈঠকের মাধ্যমে নীতিমালার খুটিনাটি  চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এরপর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) খসড়া চূড়ান্ত করে সরকারের অনুমোদনের জন্যে নীতিমালাটি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছে।

গত বছর দেশে সবার আগে বিডিকম প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সুবিধা চালু করে। এখন সেটি সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

গ্রাহক এ সেবার আওতায় থাকলে ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও শিশুরা থাকবে নিরাপদ।

কোনো অ্যাডাল্ট (পর্নো সাইট) কনটেন্ট, জুয়ার সাইট, সহিংস কোনো দৃশ্য, ধর্মীয় উগ্রবাদের লিংক, তথ্য, ভিডিও চিত্র আসবে না। এতে যে কোনো অপ্রত্যাশিত এবং অপ্রয়োজনীয় কনটেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিল্টার হয়ে যাবে।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে আইএসপিদের জন্যে ছয় ধরণের লাইসেন্স থাকলেও সেটিকে এলাকাভেদে চারটিতে নামিয়ে আনা হচ্ছে নতুন নীতিমালায়।

একই সঙ্গে বাড়ছে বার্ষিক নবায়ন ফি।

বর্তমানে যে ছয় ধরনের লাইসেন্স রয়েছে সেখানে ন্যাশনওয়াই, সেন্ট্রাল জোন এবং জোনাল লাইসেন্স ছাড়াও আছে ক্যাটাগরি এ, বি এবং সি লাইসেন্স।

ন্যাশনওয়াই লাইসেন্স দিয়ে সারা দেশে ব্যবসা করা গেলেও সেন্ট্রাল জোনের লাইসেন্স কেবল সমগ্র ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকায় ব্যবসা করা যায়।

জোনাল লাইসেন্স দিয়ে অন্যান্য মেট্টোপলিটন এলাকায় ব্যবসা করা যায়।

অন্যদিকে এ ক্যাটাগরি লাইসেন্স দিয়ে অল্প পরিষরে ঢাকা এবং অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরের কিছু এলাকায় ইন্টারনেট সেবা দেওয়া যায়।

বাকি দুই ক্যাটাগরি লাইসেন্সে উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হতো।

নতুন নীতিমালায় সারা দেশের জন্যে ন্যাশনওয়াইড থাকছে। তাছাড়া বিভাগীয় এবং জেলা শহরের জন্য আলাদা আলাদা লাইসেন্স করা হচ্ছে ডিভিশনাল ও ডিস্ট্রিক নামে।

উপজেলা-থানা পর্যায়ের জন্য আসছে স্থানীয় লাইসেন্স।

ন্যাশনওয়াইড লাইসেন্স ফি এখন এক লাখ টাকা থাকলেও সেটি আড়াই লাখ টাকা করা হচ্ছে।

সেন্ট্রাল জোন এবং জোনাল বিভাগে ৫০ হাজার টাকার লাইসেন্স ফি ছিল। যেটি বিভাগীয় পর্যায়ের জন্য দেড় লাখ এবং জেলার জন্য এক লাখ টাকা টাকা করা হচ্ছে।

এ ক্যাটাগরির লাইসেন্স ফি আগে ছিল আড়াই হাজার ও পাঁচ হাজার টাকা যেটি স্থানীয় লাইসেন্স নামে হবে ৩০ হাজার টাকা।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার নীতিমালায় এসব পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তার বিবেচনায় লাইসেন্স ফি’র অংক কিছুটা বাড়লেও বর্তমানে এটি নগন্য পর্যায়ে আছে। সে কারণে এটি সামান্য বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে কয়েকবার আইএসপি নীতিমালা করা হলেও সেটি চূড়ান্ত হয়নি। তবে এবার টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর আগ্রহে খসড়া চূড়ান্তকরণে নানা পর্যায়ে বৈঠক হয়।

সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গেল সপ্তাহে বৈঠকের পর বিটিআরসি এটি মন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *